শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিকামী বাঙালিকে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১’এ একসমুদ্র জনতার সামনে তাঁর বজ্রকণ্ঠে সেই ঐতিহাসিক ভাষণেই ছিলো স্বাধীনতা অর্জনের পথরেখা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে দেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বীর বাঙালিরা।
১৯৭১, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠীর শোষণ-নিপীড়ণের কষাঘাত থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করার আন্দোলন-সংগ্রাম চূড়ান্ত রূপ নেয় একাত্তরে।
বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা, দেশের আশা-ভরসা প্রতীক হয়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করতে ৭ই মার্চ তৎকালীন ঢাকা রেসকোর্স ময়দান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের মধ্য দিয়ে, সেদিন বাঙালি জাতি পেয়েছিলো দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করার চূড়ান্ত পথনির্দেশনা। সেময়ের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৭ই মার্চ জাতির পিতার ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালির মনে অপ্রতিরোধ্য শক্তির সঞ্চার ঘটেছিলো বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।
ইতিহাসবিদদের মতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ভাষণ সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল,ইতিহাসবিদ ও উপাচার্য।
বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবেই জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন।
৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধু সেই ভাষণ, সারাবিশ্বে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।
Leave a Reply